ভাব-সম্প্রসারণ July 4, 2021 মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন : ভাবসম্প্রসারণ প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না : ভাবসম্প্রসারণ “পুথি গত বিদ্যা, পর হস্তে ধন/ নাহি বিদ্যা নাহি ধন, হলে প্রয়োজন। ” : ভাবসম্প্রসারণ সকলের তরে সকলে আমরা / প্রত্যেকে আমরা পরের তরে অন্য খরচের চেয়ে বাজে খরচেই মানুষকে চেনা যায় : ভাবসম্প্রসারণ যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা / যুদ্ধ মানে আমার প্রতি, তোমার অবহেলা। স্বার্থ যত পূর্ণ হয়, লোভ ক্ষুধানল তত তার বেড়ে ওঠে। চেরাপুঞ্জি থেকে , একখানা মেঘ ধার দিতে পারো গোবি সাহারার বুকে ? শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির। যে পূজার বেদী রক্তে গিয়েছে ভেসে, ভাঙো ভাঙো আজি ভাঙো তারে নিঃশেষে/ ধর্মকারার প্রাচীরে বজ্র হানো, এ অভাগা দেশে জ্ঞানের আলোক আনো । অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে / তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে। কে লইবে মোর কার্য ? কহে সন্ধ্যা রবি, শুনিয়া জগত রহে নিরুত্তর ছবি। মাটির প্রদীপ ছিল, সে কহিল, “স্বামী ,আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি”। কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে, ভাই বলে ডাকো যদি দেব গলা টিপে। হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা, কেরোসিন শিখা বলে ‘এসো মোর দাদা।’ এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি / রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি। সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি। হায় রে ভজনালয় ,তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়। প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্রহীন ফুটিয়াছে ছোট ফুল অতিশয় দীন । “ধিক ধিক” বলে তারে কাননে সবাই , সূর্য উঠি বলে তারে, “ভাল আছ ভাই”? যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে , সহস্র শৈবাল-দাম বাঁধে আসি তারে। যে জাতি জীবন হারা অচল অসাড়, পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার। উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে / তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে। বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে, বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে, দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু ; দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ; ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশিরবিন্দু। যার ভয়ে ভীত তুমি সে অন্যায় ভীরু তোমার চেয়ে, যখনই জাগিবে তুমি তখনি সে পলাইবে ধেয়ে। অন্তরে অনিষ্ট চিন্তা মুখেতে মিষ্টতা, তার চেয়ে ঢের ভাল প্রকাশ্য শত্রুতা | জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হউক ভালো চালাকির দ্বারা মহৎ কার্য সম্পন্ন হয় না | দয়া বলে,কে গো তুমি? মুখে নাই কথা, অশ্রুভরা আঁখি বলে, আমি কৃতজ্ঞতা। বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়। অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময় লভিব মুক্তির স্বাদ । অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু- মুসলমান / মুসলিম তার নয়ন মনি , হিন্দু তাহার প্রাণ। সার্থক জনম আমার, জন্মেছি এ দেশে। সার্থক জনম মা গো,তোমায় ভালোবেসে। শোনো মর্ত্যের জীব! অন্যেরে যত করিবে পীড়ন, নিজে হবে তত ক্লীব। নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, কহে, “যাহা-কিছু সুখ সকলি ওপারে “। ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা, হে রুদ্র, নিষ্টুর যেন হতে পারি তথা তোমার আদেশে। বসুমতি, কেন তুমি এতই কৃপণা , কত খোঁড়াখুঁড়ি করি পাই শস্যকণা । তরীখানা বাইতে গেলে মাঝে মাঝে তুফান মেলে/ তাই বলে হাল ছেড়ে দিয়ে কান্নাকাটি করবো না। আলো বলে অন্ধকার, তুই বড় কালো/ অন্ধকার বলে, ভাই তাই তুমি আলো। মনুষ্য প্রীতি ভিন্ন, ঈশ্বরে ভক্তি নাই। “মানুষই দেবতা গড়ে তাহারই কৃপার পরে করে দেব মহিমা নির্ভর ।” সোনার মাছি খুন করেছি ভর দুপুর বেলা/ হিসেব কষে বেহিসেবির স্বভাবে নেই চলা। পেঁচা রাষ্ট্র করি দেয় পেলে কোন ছুতা/ জান না? আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা। এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভুরি ভুরি/ রাজার হস্ত, করে সমস্ত, কাঙালের ধন চুরি | কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর / মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর | কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায় / তা বলে কুকুরে কামড়ানো কি মানুষের শোভা পায়। চন্দ্র কহে বিশ্বে আলো দিয়েছি ছড়ায়ে / কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে। শুধু হাত দিয়ে সেবা,নাহি সে যদি প্রাণ | শ্রদ্ধাসহ নাহি দিলে, ব্যর্থ রাজভোগের দান। প্রীতি প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদের কুঁড়েঘরে। “পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না । পরের জন্য তোমার হৃদয় কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও” যার ভয়ে ভীত তুমি সে অন্যায় ভীরু তোমার চেয়ে, যখনি জাগিবে তুমি তখনই সে পলাইবে ধেয়ে শুনহ মানুষ ভাই/সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই
যে পূজার বেদী রক্তে গিয়েছে ভেসে, ভাঙো ভাঙো আজি ভাঙো তারে নিঃশেষে/ ধর্মকারার প্রাচীরে বজ্র হানো, এ অভাগা দেশে জ্ঞানের আলোক আনো ।
কে লইবে মোর কার্য ? কহে সন্ধ্যা রবি, শুনিয়া জগত রহে নিরুত্তর ছবি। মাটির প্রদীপ ছিল, সে কহিল, “স্বামী ,আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি”।
কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে, ভাই বলে ডাকো যদি দেব গলা টিপে। হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা, কেরোসিন শিখা বলে ‘এসো মোর দাদা।’
প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্রহীন ফুটিয়াছে ছোট ফুল অতিশয় দীন । “ধিক ধিক” বলে তারে কাননে সবাই , সূর্য উঠি বলে তারে, “ভাল আছ ভাই”?
যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে , সহস্র শৈবাল-দাম বাঁধে আসি তারে। যে জাতি জীবন হারা অচল অসাড়, পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।
বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে, বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে, দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু ; দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ; ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশিরবিন্দু।
নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, কহে, “যাহা-কিছু সুখ সকলি ওপারে “।