যার ভয়ে ভীত তুমি সে অন্যায় ভীরু তোমার চেয়ে, যখনই জাগিবে তুমি তখনি সে পলাইবে ধেয়ে।

এই পার্থিব সমাজে বহু প্রকৃতির মানুষ বসবাস করে। কিছু মানুষ আছে যারা স্বার্থন্বেষী। এই সমস্ত স্বার্থান্বেষী মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে করে অত্যাচারিত। কিন্তু এই অত্যাচারী মানুষের কোন নৈতিক ভিত্তি নেই। তারা কেবল ভয় দেখিয়ে শোষণ- পীড়ন চালায় এবং এই ভাবে তারা বহু মানুষকে করে শোষিত, অপমানিত, অবহেলিত। এইভাবে সেই সমস্ত স্বার্থান্বেষী মানুষজন নানাভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে থাকে।

কিন্তু অসত্য, অন্যায়কে চিরকাল শক্তির আস্ফালনের দ্বারা রক্ষা করা যায় না। সাময়িকভাবে হয়তো অশুভ শক্তি প্রাধান্য লাভ করতে পারে। কিন্তু অত্যাচারিত মানুষ চিরকাল তা মেনে নেয় না। পারিপার্শ্বিক অবস্থার চাপে কিংবা আত্ম দূর্বলতার জন্যই অনেক সময় অত্যাচারিত মানুষজন অত্যাচার মেনে নেয়, আত্মসমর্পণ করে অশুভ শক্তির কাছে। কিন্তু এমন এক সময় আসে মানুষ অত্যাচারিত হতে হতে সংঘবদ্ধতা এবং আত্মশক্তিতে সচেতন হয়ে অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। তাদের এই প্রতিরোধে অন্যায় কারী মানুষজন পলায়নের পথ খোঁজে। কারণ অসত্য এবং অন্যায়ের ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল। অন্যায়কারী মানুষজনদের মানসিকতা কোন দৃঢ়তা থাকে না।পাপবোধ তাকে দুর্বল করে তোলে। অত্যাচারীরা কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দুর্বলই হয়ে থাকে। তাই সমস্ত সময় মানুষকে সাহসিকতার সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।

তাই পৃথিবীতে সমস্ত মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এবং এই পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করতে প্রতিটি মানুষের উচিত অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা। আত্মপ্রত্যয়ে বলিয়ান হয়ে শোষিত এবং অত্যাচারিত মানুষেরা যদি প্রতিবাদ করতে পারে, তবে অত্যাচারীর মুখোস খসে পড়বে। এইভাবে যেদিন এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ অত্যাচার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে সেদিন এই পৃথিবী থেকে অন্যায় ও অত্যাচারের কালো আঁধার বিদূরিত হবে এবং এই পৃথিবীতে শান্তির তপোবন স্থাপিত হবে।

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x
Scroll to Top